একাত্তরের পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : শ ম রেজাউল করিম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল বলেছেন, দেশ যখন শান্তিতে আছে, মানুষের যখন আর কোনো অভাব অনটন নেই। অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান সহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে, ঠিক সেই মুহুর্তে একটি শ্রেণির এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ভালো লাগছে না। তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মরে যায় নাই, তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বেঁচে আছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির জারজ সন্তানেরা এদেশে বেঁচে আছেন, তিনি আরও বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পছন্দ করে না, যারা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ পছন্দ করে না, যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ পছন্দ করে না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি তাদের ভালো লাগছে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর গেন্ডারিয়াস্থ মিল ব্যারাক নৌ জেটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নৌ রেলি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্ম কখনো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অন্যায় ও জুলুম পছন্দ করে না। কিন্তু ইসলামের নাম ধারী কিছু বিশৃঙ্খলকারী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছেন। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করছেন। তাই যেখানেই এরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাইবে, সেখানেই এদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। এজন্য মৎস্য জীবী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। কোনো ভাবে ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া যাবে না।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে একজন মানুষ না খেয়ে থাকে না। একজন মানুষ বিবস্ত্র অবস্থায় নেই। একজন মানুষ নেই- যারা টাকার অভাবে কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। আজ সারা বাংলাদেশে অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা সহ সকল বিষয়ে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মৎস্য খাত দুরবার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে মাছ যেন বিলুপ্ত হয়ে না যায়। মাছ চাষের মাধ্যমে পুষ্টি আমিষের চাহিদা পূরণ করা। মাছ যেন বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা ও মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সহ মৎস্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। আজ যারাই মৎস্য চাষের সাথে জড়িত, তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন।
জেল হওয়ার পর বাসায় বসে সাজা ভোগ করা পৃথিবীর ইতিহাসে নতুন রেকর্ড উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন দেশ আছে, যে খানে বাসায় বসে সাজা ভোগ করা হয়, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার হৃদয় আকাশের মতো বড়, বাড়ি থেকে জেল খাটার সুযোগ করে দিয়েছেন, ভালো স্থানে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন, কিন্তু তাতে তাদের হচ্ছে না, কেউ হেফাজত নামে, কেউ নিজামী ইসালামীর নামে, কেউ রাজাকারের নামে নতুন করে দেশের মধ্যে অস্তিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছেন।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাইদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্যে রাখেন, কার্যকরী সভাপতি, সাইফুল আলম মানিক, সহ সভাপতি আবুল বাসার, মুহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, ড. মমতাজ খানম, লিকু সিকদার প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফিরোজ তালুকদার, প্রচার সম্পাদক কাজী শফিউল আলম সফিক, দফতর সম্পাদক এনামুল হক রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সিদ্দিকী, উপ প্রচার সম্পাদক ইউসুফ আলী বাচ্চু, উপ দফতর সম্পাদক গোলাম সাব্বির, ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য সচিব কাজী মুহিদুল ইসলাম মহিম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব আব্দুল জলিল, ঢাকা জেলার নেতৃবৃন্দ এবং মহানগরের সকল থানার কয়েক হাজার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস